শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
ধরলা পাড়ে সরকারীভাবে বালু তোলায় চরাঞ্চলবাসীর মাথায় হাত!

ধরলা পাড়ে সরকারীভাবে বালু তোলায় চরাঞ্চলবাসীর মাথায় হাত!

লালমনিরহাটে রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি খাস খতিয়ান দেখিয়ে বালু উত্তোলন করায়, ফসলের জমির ক্ষতি সাধন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বন্যার আশংকাসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পরতে বসেছে জেলার ধরলা নদীর পাড় এলাকাগুলোয়। অধিক পরিমানে ট্রাক্টর চলাচলের কারণে ধরলা নদীর রক্ষা বাঁধটিও হুমকীর মুখে পড়তে বসেছে।

 

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজারে চর শিবেরকুটি ও বনগ্রাম এলাকার সাধারণ জনগণ একটি মানববন্ধন করে।

 

চর শিবেরকুটির জনসাধারণের পক্ষে কায়ইম মুন্সি, মোতালেব, আতিকুল, মজিবর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় চর শিবেরকুটির ৫শতাধিক জনসাধারণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদীতে আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমি আছে। সেখানে আমরা চরাঞ্চলের চাষীরা ভূট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছি। সেই আবাদি জমি গুলোর পাশ থেকেই বালু উত্তোলন করছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান। ঐ স্থান থেকে ৩ফিট গভীর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেখানে ১০থেকে ১২ ফিট গভীর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করছেন। গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করায় আমাদের ফসলি জমিগুলো এখনই সেই গর্তে ভেঙ্গে পড়ছে। ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

 

বক্তারা আরও বলেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ধরলা নদীর রক্ষা বাঁধটি বিলিন হওয়ার পথে অপরদিকে চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট গুলোর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে ট্রাকগুলো চলার কারণে ধুলোবালিতে আমাদের বাড়ি-ঘর ভরে যাচ্ছে। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন।

 

খুব দ্রুত শিবেরকুটি এলাকার ধরলা পাড়ে বালু উত্তোলন বন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকীও দেন বক্তারা।

 

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোটেশনের মাধ্যমে ধরলা পাড়ের জমিগুলো স্তুপ আকারে জমে বালু অপসারনের নিলাম করা হয়। সেদিন বালু অপসারন বাবদ প্রতি সিএফটি শতকার ০.৭৫ টাকা দরে ৮লক্ষ ২৯হাজার ৩শত ৪৭টাকা দরে সর্বনিম্ন দরদাতাকে নিলাম প্রদান করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone